“পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান কেসিসি প্রশাসকের”
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন, “স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নগরবাসীর পাশাপাশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ধরে রাখা এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এজন্য নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য সংরক্ষণ ও সঠিকভাবে অপসারণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কেসিসির পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন ও কমিউনিটি পর্যায়ের নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে।”
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত “স্টেন্ডিং কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কারিগরি সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম”-এর আওতায় কেসিসি এই কর্মশালার আয়োজন করে। “স্বাস্থ্যকর শহর খুলনা” প্রকল্পের অধীনে নগরীর ৬, ১৮ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনযাত্রা, শারীরিক পরিশ্রম, খাদ্যাভ্যাস এবং পরিচ্ছন্নতার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং সমাধানের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কর্মশালায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে বিদ্যমান তিনটি পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে এবং নাগরিকদের শারীরিক পরিশ্রমে উৎসাহিত করতে একটি সাইকেল র্যালি আয়োজন করা হবে।
কেসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার, ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোছাঃ শাহীন আক্তার পারভীন, বিটিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ তরিকুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ মিজানুর রহমান, কুয়েটের ইউআরপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মনজুর মোর্শেদ ও প্রফেসর ড. তুষার কান্তি রায়, সমকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হোসেন আলী খন্দকার এবং শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহাবুব আলম।
এছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লাহ, শামীমা সুলতানা শিলু, যমুনা টিভির খুলনা প্রতিনিধি শেখ আল এহসানসহ ওয়ার্ড কর্মকর্তারা, সচিববৃন্দ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
সঞ্চালনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ আহমেদ।











